Saturday, December 29, 2012

৩১ ডিসেম্বর

নগ্নতা যদি শালীনতা হয়-
তবে নগ্নতা কাকে বলি?
পতিতার মুখে "বেজন্মা" কখনো
হয়না জন্মেও গালি।

উৎসুক তুমি উন্মাদনায়
পশ্চিমা সংস্কৃতি!
আহা মরি! সব লজ্জা ঘুচিয়া
ভুলেছ নিজের রীতি।
ধর্ম শুনেই ঘৃণা লাগে আজ-
সভ্যতা তুমি জানো?
বর্বর তুমি বন্য পশু
পশুদের গুরু মানো।

পশুরা তোমায় শিক্ষা দিয়েছে
বনে বনে ঘাস খাওয়া
নর্দমা নেমে হাটু জল ভেঙ্গে
যেমনে করে সে নাওয়া।

পশু তো পশুই- পিতামাতা কে
শালীনতা কিছু নেই
জানেনা যেজন পিতার নামটি-
তাকে কেন জ্ঞান দেই?

সভ্য তোমরা নিজেকে ভাবো-
সুশীলের কর্ণধার।
প্রগতির নামে পশুত্ব আজ
করো তাই ব্যবহার।

Friday, December 28, 2012

যমদূত

আমাকে কিনতে চেয়েছিল-
বামরা!
আমি বলেছিলাম, আমি পন্য নই।
ওরা বলেছিল, আমাকে মেরে ফেলবে
অতি ধীরে- স্লো পয়জনে।
আমি বলেছিলাম- তবুও ভালো
কিছুদিন চেয়ে চেয়ে মৃত্যু দেখব
অপেক্ষা করব চিরনিদ্রার।
অনেক দিন অপেক্ষায় আছি-
শান্তির ঘুম ঘুমাব বলে।
রিভলবারের তপ্ত নল কপালে ঠেকিয়ে-
তবে এক্ষুনি ঘুমাও!
নীরব কিছুক্ষণ- চোখ বুজেছিলাম
মনে পড়ে গেল- যমদূত কৈ?
চিৎকার করে বললাম, সাহস থাকে তো চালাও-
অন্তত তুমি যমদূত নও!
কেঁপে উঠেছিল সমগ্র পৃথিবী!
ঠিক মনে নেই পৃথিবী না ওদের পা।
ঘাম ঝড়ছিল ওদের কপালে-
জমে থাকা শিশিরের স্বচ্ছ কণার মত।
কেউ একজন কাঁপা গলায় বলে উঠল-
পালাও...
ওরা পালিয়ে গেল।
হয়ত আবার আসবে!
যমদূত সাথে নিয়ে-
আমি অপেক্ষায় আছি যমদূতের।

Wednesday, December 19, 2012

অস্ত্রধারীর হাতে

আমি একদিন মন্ত্রী হবে বলছে বন্ধু বর
বললাম আমি একটু দাড়া, একটু সবুর কর।
পারছি না আর লাগবে টাকা, ঢাকায় বাড়ি চাই
বললাম আমি, এত কিছু কেমনে হবে ভাই?
ওরে বোকা মন্ত্রী হলে এসব কিছু ফাও
চাস যদি তোর বাপকে পাবি! কবর থেকে? তাও!
আরো পাবি সোনার হরিণ, সোনার বাংলাদেশে
বললাম আমি পা কাঁপছে, সব খোয়াব শেষে?
বন্ধু বলে, স্বর্গ কিনে একটা দিব তোরে!
বললাম আমি ঘুম লেগেছে ডাকিস আমায় ভোরে।
হঠাৎ কখন ঘুম পেয়েছে, স্বপ্ন দেখি তাই-
আমি এখন স্বর্গে উড়ি, বাংলাদেশে নাই।
ফেরেস্তারা করছে তাড়া তাই পেয়েছি ভয়
ওকি! বন্ধু দেখি অস্ত্রধারী ফেরেস্তা সে নয়!

Tuesday, December 18, 2012

আমি মৌলবাদী

আমি মৌলবাদী, বামদের সাথে নেই
নাস্তিকদের ঘৃণা করি আমি ঈশ্বরে পূজা দেই।
বলুক ওরা মৌলবাদী- কূপমণ্ডূক যারা
স্রষ্ঠাকে মেনে মরতে রাজি, সাজতে সর্বহারা।
ক্ষুদ্ররা আজ মাথা চারা দিতে ভীষণ ব্যাস্ত দেখি
ফেরাউনদের মনে নেই আজ নীল দরিয়া- সেকি!
ওরা জানে না মিশরের কথা, পিরামিডের ইতিহাস
নুমরূদেরা সব ভুলে তাই রচে আজ সন্ত্রাস।

ওরা নাকি মহা জ্ঞানী!
পৃথিবীর কাছে ঋণ করে তাই ছড়ায় ধর্ম বাণী।
ওদের ধর্ম ঈশ্বর নেই- নশ্বর নাকি সব
মৃত্যু না এলে তাইতো ওরা কাউকে মানেনা রব।
ভাই মরেছে, মোল্লা ডাকিয়া হাত বাধে জানাজায়
ভন্ডামী কর! ভুলে যাও কেন? শয়তানি ভাবনায়?
ভুলগুলো সব ধরা পড়ে গেলে, বাদ পড়ে যায় দলে
নতুনের কাছে সব চলে যায়, চাপা পড়ে যায় বলে।
নবরাজ যারা ধ্রুবরাজ হয়ে পায় শাষণের ভার
সাবেক রাজার খোঁজ কে রাখে রাজ্য এখন তার!
ভালো থেক রাজা পেতে হবে সাঁজা, রাজার রাজার হাতে
বাদ যাবে না কোনই রাজা, রাজার মোলাকাতে।

মেধা পাচার

কিভাবে যেন চুরি হয়ে গেল বাংলাদেশের মেধা!
কাউকে ওরা মানছে না কেন? মানছে কেবল দাদা।
দাদা বলে গেছে কাজ করে যাও- আমরা আছি পিছে
পরাশক্তির মহা-রাষ্ট্র, তবে ভয় পাও কেন মিছে?
হাতিটা আমার, ঘোড়াটা আমার, ফ্রি দিলাম এই গাড়ি
তেল লাগে দিব- কিছু টাকা হলে! ফিরে যেতে হলে বাড়ি।
দাদা নিয়ে গেছে পদ্মা-মেঘনা, পানি দিয়ে করে চাষ
আমরা অভাগা, চাষ না করে চাল কিনি বারো মাস।
দাদাদের আছে প্রযুক্তি কত? মাঝে মাঝে দেয় ধার
কৃষকের মাথা ছেটে দিতে তাই কম দামে দেয় সার।
ট্রানজিট চাই, উন্নতি হবে- রাস্তা বানাও নদী
দাদাদের কথা মানতেই হবে, নইলে যাবে গদি!
সস্তার দরে বস্তায় ভরে দাদারা পাঠায় শাড়ী
অল্প দিনেই নব শাড়ী জোটে, খুশি তাই সব নারী।
দাদারা বলে বন্ধু আমরা, কত সহজ এর মানে-
কত রত্ন নিয়েছে তারা? মোদের কেউ কি জানে?

Saturday, December 15, 2012

আমি লজ্জিত যে কারণে

আমি লজ্জিত আমি শংকিত আজ জ্ঞাতি!
আজকে কেন ঝিমিয়ে পড়েছে সাহসী বাঘের জাতি?
দুর্নীতিকে প্রতিরোধ কর, অপচয় কর রোধ
প্রতিবাদ কর অপমৃত্যুর, গড়ে তোল প্রতিরোধ।
অস্থির কেন রাজ্য তোমার, কলঙ্ক কেন ঘাড়ে
লাঞ্চিত কেন অসহায় যারা- প্রতিদিন বারে বারে?
নির্বিচারে মরছে মানুষ- কান্না দেখনা তুমি?
সম্ভ্রম হারাতে অসহায় নারী, দরিদ্র হারাতে ভূমি।
একমুঠো ভাত কেড়ে নেয় যারা- ভিখারির মুখ হতে
নির্মম যারা গুপ্ত ঘাতক, যমদূত যারা পথে।
পিশাচের হাতে কত হবে খুন, কত হবে প্রাণ বলি
কত দিন আর আত্ম-বাঁচিয়ে দুর্ভাবনায় চলি?
আর কত তারা দুর্বল যারা লুন্ঠিত হয় রোজ
দুর্বিত্তের কালো থাবা তলে হারাবে কতই খোঁজ?

Friday, December 14, 2012

স্বাধীনতা তুমি

পরীক্ষা শেষ তাই হঠাৎ বিশ্বজিতের কথা মনে পড়ল...... আহা বেচারা স্বাধীনদেশে এভাবে মারা পড়লো... সত্যিই দুঃখজনক। তাঁর জন্য দু কলম লেখা ছাড়া আমার আর কি করার আছে?
বিশ্বজিৎ তোমাকে উৎসর্গ করলাম।

স্বাধীনতা তুমি
.......................................

স্বাধীনতা তুমি বদ্ধ কূপে আবদ্ধ কেন আজ?
স্বাধীনতা তুমি স্বৈরাচারের মাথায় পড়ানো তাজ!
স্বাধীনতা তুমি নুইয়ে পড়েছ রাজ ক্ষমতার হাতে
স্বাধীনতা তুমি চুপসে আছ পরাধীনত
ার সাথে।
স্বাধীনতা তুমি নীরব রয়েছ; শক্তিধরের ভয়?
স্বাধীনতা তুমি শিকলে বাঁধা- ধনাঢ্যদের জয়।
স্বাধীনতা তুমি কথা রাখনি- লক্ষ্য করেছ ভুল
স্বাধীনতা তুমি স্বাধীনতাকেই করিতেছ নির্মূল।
স্বাধীনতা তুমি বিপথগামী জানতে পেরেছ কি?
স্বাধীনতা তুমি ভুলতে চলেছ- মুক্তির স্বাদটি।
স্বাধীনতা তুমি মনে রাখনি বুলেট বিদ্ধ লাশ
স্বাধীনতা তুমি চেয়ে দেখনি সতীত্ব হারানো কাজ?
স্বাধীনতা তুমি চুপ কেন আজ- বীর সেনারা কই?
স্বাধীনতা তুমি আজকে কোথায়, শুনছ না হৈ চৈ?
স্বাধীনতা তুমি নীরব কেন? আরো কত প্রাণ চাই
স্বাধীনতা তুমি বিশ্বজিতের পক্ষে তো আজ নাই!
স্বাধীনতা তুমি আরো কত চাও- অগ্নি ভষ্ম প্রাণ?
স্বাধীনতা তুমি আরো কত চাও- সত্যের অপমান?
স্বাধীনতা তুমি বিচার করোনি- অত্যাচারী যারা
স্বাধীনতা তুমি গোপন করেছ; খুনিকে দিয়েছ ছাড়া।
স্বাধীনতা তুমি বিপদের নাম- পথচারীরা জানে
স্বাধীনতা তুমি লুন্ঠিত হওয়া, নির্বিচারের মানে?
স্বাধীনতা তুমি অস্ত্রের মুখে চুপসে যাওয়া বীর?
স্বাধীনতা তুমি অভাগী মায়ের বক্ষে ভেদা তীর?
স্বাধীনতা তুমি হাভাতে মানুষ; অভাবীর চোখে জল
স্বাধীনতা তুমি বিচারের নামে সাঁজা পাওয়া দুর্বল?
স্বাধীনতা তুমি চোখ বুজে থাকা বঞ্চিত হলে কেউ
স্বাধীনতা তুমি তুমি কারার কপাট, গুম হয়ে যাওয়া- সেও!

স্বাধীনতা তুমি স্বাধীন হতে আর কত দিন নিবে?
স্বাধীনতা তুমি স্বাধীনতা দাও- শান্তি বিলাও জীবে।

Sunday, December 9, 2012

মাতৃ-মুক্তিকামী


জীবন যখন অল্প দামের মলিন সুতার ঘুড়ি
ছিড়বেই তো হাল্কা টানে উড়বে আকাশ জুড়ি।
রক্ত খেলা জলের দামে রঙের মতন করে
তাইতো মানুষ মরছে পথে- বাইরে এবং ঘরে।
রাজনীতি আর দুর্নীতিতে কুক্ষিগত সব
মানুষ বোকা, না বুঝে তাই করছে কলরব।
হাল ভাঙ্গা নাও পাল ছিড়েছে মাঝ দরিয়া এসে
মানুষ বড়ই সস্তা এখন- দাও জলেতে ভেসে।
কে লবে খোঁজ মাতৃপণের, মিথ্যে সকল আশা
বলছে মুখে বলার কথা, শত্রু ভালোবাসা।
স্বার্থ তাদের নিজের মত, মিথ্যে বিলাও প্রাণ
রক্তচোষা রক্ত দিয়ে অল্প বিলায় ত্রাণ।

ভুল করেছ ভুল করেছ- বিপথগামী তুমি
কে জানে তা বুঝবে কবে মাতৃ-মুক্তিকামী।

Friday, December 7, 2012

সুশীলসমাজ

বিধাতা মানে না, সৃষ্টিকে ওরা মিথ্যা বলিয়া জানে
ওদের মৃত্যুতে শোক কেন তবে, কেন তবে কুলখানি?
ওরা তো বলেছে ঈশ্বর নাই, বস্তুতা হল সেরা-
মোল্লা ডাকিয়া শেষ কাজে তবে করিতেছ কেন জেরা?
ধর্মকে তবে ডাক কেন তুমি, মুসলিম ও হিন্দু নয়
প্রাথনা বলে কার কাছে চাও, কাহাকে করিতেছ ভয়?
ভন্ডামি করে জীবন ধরিয়া, স্রষ্ঠাকে পাড়ে গালি
দিনে তারা নাকি সুশীলসমাজ, রাতে ভুত মেখে কালি।

জাগ বাঙালি

তোরা বুঝিস বেশি, হিংসে তোদের জন্মের অভিশাপ
তোরা বাঙ্গালি তাই বাপ কে মারিস, শত্রুকে দিস মাফ।
বুঝিস না তোর মন্দ ভালো, ভাবিস না কে পর
যাস কেন সব আঘাত ভুলে থামলে হঠাৎ ঝড়।
সব ভুলে যাস ঘরের কথা, পড়শি যখন বলে
তোরা নিশির কথা দিনের আলোয় কেমনে বলিস জ্বলে?

জাগ বাঙালি বীর সেনারা, যুদ্ধে যাবার ক্ষণ
তোরা যাসনে ভুলে অতীত লেখা, যাসনে ভুলে রণ।
রণের তরীয় বাজছে ভেরী সময় অনেক কম
হারাসনে তোর সকল বিজয়, জাগ্রত তোর যম।

ভেবোনা বাংলাদেশ

ভেবোনা বাংলাদেশ!
সময়টা বড় কঠিন আমরা জানি...
আমারা জানি শত্রু কারা, কোথায় তাদের ঘাঁটি?
বহুবার শত্রু মুক্ত করেছি আমরা
তাজা প্রাণের বিনিময়, মুক্ত করেছি মাটি।
আজ আবারো তোমার আকাশে কালো মেঘ
জানি আসতে পারে কালবৈশাখি।
তবু বলে রাখি...
পেতে দিব খোলা বুক
আরেক বার ইতিহাস গড়ে বিশ্বকে জানাবো

আমারা মা কে ভালোবাসতে পারি, যেমনটি বেসেছিলাম।
সব বিসর্জন শেষে আমারা মাকে হাসি মুখে জানাতে পারি
চির পরিচিত সেই শ্বাশত সালাম।

ভেবোনা'ক তুমি বাংলাদেশ!
আমরা এখনো ঘুমাইনি...
ধৈর্য্যের শেষ দেখব বলে প্রতীক্ষিত
উদার মনের মহত্বকে যারা দুর্বলতা ভাবে
আমরা তদের আজন্ম ঘৃণা করি।
আমাদের ঘৃণা কাউকে বাঁচতে দেয়নি
আমাদের রোষানল পরাশক্তিকেও হার মানিয়েছে
আমারা সংখায় সীমিত বলে দুঃখ করোনা
বনে বাঘের সংখ্যা সীমিতই হয়।
আমরা তো বাঘের জাতি।

কষ্ট পেয়োনা বাংলাদেশ!
যারা তোমার বুক চিরে কলিজা নিয়েছে
আমরা তদের ক্ষমা করিনি।
অশ্রু মুছেছি বটেই
হৃদয়ের কোণে জুমে থাকা দুঃখকে মুছেছি মাত্র।
আজো করবোনা ক্ষমা
শত্রুর কোন ক্ষমা নেই।
যারা আমাদের মাকে বিদ্রোহ করে
তাদের কোন ক্ষমা নেই।

Monday, December 3, 2012

সুখে থেক দেশ

সুখে থেক দেশ, পঁচা রাজনীতি
ছল করে বলা- বাংলার প্রীতি।

শহীদেরা আজ কাঁদে-
স্বাধীনতা নাকি বাঁধা পড়ে আছে
রক্তচোষা মহাশ্মশানের ফাঁদে।
কেউ তো বলে না সত্যের ইতিহাস
ক্ষমতাকে করে কুক্ষিগত
নিজের স্বার্থে যত পারে করে দেশের সর্বনাশ।
মানুষেরা আজ মরছে পুড়ে

বাড়ী ফিরে তাজা লাশ
মানবতা আজ পথ হারায়ে, এসেছে শ্মশান জুড়ে।

রাজনীতি আজ বিপথে চলেছে
প্রতিপক্ষকে তাড়া
রাজনীতি আজ রাজার কথা
রাজ্যের কথা ছাড়া।

সুখে থেক দেশ, আমাদের ছাড়া
রাজাদের নিয়ে আর পেয়াদা যারা।