Monday, January 7, 2013

অধিকার চাই

অসত্য আজ মাথা চারা দিতে সত্যকে করে ঘা
ছড়িয়ে গিয়েছে পৃথিবী জুড়ে ঘৃণিত পাপীর ছা।
ঢাকা পড়ে গেছে আলোকের দ্বীপ। অতি দূরে-
তাড়া খেয়ে আজ সত্য নাকি ভষ্মিত হয় পুড়ে।
মৃত্যু দূতরা হাসে আর হাসে উল্লাসে একাকার
আজরাইলের হুংকার শুনে সত্যরা কদাকার।
পাপীরা জানেনা যমদূত কভু হয়না আপন জন
খুঁজে খুঁজে সে ছুটে যায় যেথা মানুষেরা বাঁধে রণ।

আমি মানুষের কথা বলি
যে মানুষ মরে রাস্তার ধারে আতাতের খেয়ে গুলি।
যে মানুষ রোজ ধর্ষিত হয় আহার জোটাবে বলে
যে মানুষ রোজ সঁপে দেয় দেহ বিরহ আগুনে জ্বলে।
বিষকাটা যার বুকে বিঁধে আছে মৃত্যুর হাতে হাত
যাহারা দেখেনা আলোর পৃথিবী আহূতের কর্ণপাত।
লুন্ঠিত যারা পাষাণের হাতে শক্তির হাতে বাঁধা
মুক্তির স্বপ্ন মিথ্যা যাদের মুক্তি হয় না সাধা।

আমি তাদের মুক্তি চাই
অধিকার চাই সাম্য চাই, হতে চাই ভাই ভাই।


Wednesday, January 2, 2013

তুমা চিং স্মরণে......

পশুদের সাথে থাকি মোরা করি পশুর রাজ্যে বাস
পশুরা জানেনা মানুষের কদর মানুষের সর্বনাশ।
মাংসাশী পশু রক্ত পিপাশু পাষান্ড নরাধম
জানেনা স্বজাতি শ্রদ্ধা আরতি মানেনা কাম কানুন।

মানবদরদি মানবতা বলে সারাদিন যারা কাঁদে
আমরা জানিনা উহারা আসলে ভিনদেশিদের ফাঁদে।
পররাষ্ট্রের মাথা ব্যাথা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত তারা
দুই একটা তুমা চিং এখানে যতই পড়ুক মারা!
সুশীলতা বলে রাজপথে যারা গলা তুলে রয় খাড়া
মানবতা বলে কিছুই করেনা আত্ম-স্বার্থ ছাড়া।
সমাজসেবী ধর্মের নেতা রাজনীতি আজ কই
জনদরদীরা চুপ কেন আজ কই গেল হৈ চৈ?
কোথায় হারালো প্রগতির ধারা মিছিলের বড় ঢল
হায়রে মানুষ কিছু বলেনা মার খেলে দুর্বল।

দি দ্রঃ কবিতাটি নিচের ফেসবুক পোষ্টের সাপেক্ষে লেখা...

রাঙামাটির কাউখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তুমা চিং মারমাকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তুমাচিং এর ধর্ষন ঘটনায় মিডিয়া ব্ল্যাক আউট চলছে কেন?
কেন প্রতিবাদ হচ্ছে না?
সাইবারস্পেস ঠান্ডা কেন?
কোথায় গেলেন নারীবাদীরা?
বুদ্ধিজীবি-রাজনীতিবিদ-সুশীল-এনজিও-অনলাইন এক্টিভিস্ট-ব্লগার-টকশোএর লোকজন?

আসলে আমাদের কাছে ব্যাপারটা তেমন নাড়া দেয়নি।
আর ঘটনাতো ঘটেছে পাহাড়ে। ওখানে তো ঝোপঝাড় জঙ্গল। ঐ জঙ্গলে তো জঙ্গলের নিয়ম। কতো মানুষ মারা যায়- কতো ধর্ষন হয় । ওখানে এরকম ঘটেই থাকে।

দিল্লির ধর্ষনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব আর গণ্ডার চর্মাচ্ছাদনে আরামে লেপ মুড়ি দিয়ে শীতের ঘুম ঘুমাচ্ছে বঙ্গদেশ।
গোটা জাতির মনে হয় শীত ঘুম চলছে। যদি মেয়েটাকে কেটে টুকরো করে একেক টুকরো দেশের একেক কোনায় ছড়ানো হতো তাহলে হয়তো কিছু সাড়া পড়তো। একেক টুকরোর খোঁজ পাওয়ার পর টিভি চ্যানেল যাবে । মেক আপ মারা প্রতিবেদক বলবে, “হ্যাঁ আজকে তুমাচিং এর আরেক টুকরো শরীর পাওয়া গেছে। ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট বলছে এটা তার স্তনের টুকরো- তবে ডান স্তন নাকি বাম স্তন তা জানা যায়নি। আমরা আরো স্তনের টুকরো খুঁজছি। আমাদের জেলা প্রতিবেদকরা অপেক্ষায় আছেন।”

এভাবে ধর্ষন নাহলে আর মিডিয়াতে আসবে না, টকশো হবে না, ফেসবুকে আওয়াজ হবে না, মিছিল-সমাবেশ করবে না বাংলাদেশের বিদগ্ধ প্রগতিশীলেরা । যারা দিল্লি, ত্রিপুরার ধর্ষনের প্রতিবাদ করেছেন তারা হয়তো জানেনই তুমাচিং এর কথা। পাহাড় এবং আদিবাসীরা সবসময় মিডিয়া ব্ল্যাক আউটের শিকার। এদেশে পাহাড়িদের উপরে গনহত্যা হয়েছে বাংলার মানুষ জানে? কখনো মিডিয়াতে দেখেছেন? এখন একটা হলোকাস্ট নাহলে আর টেলিকাস্ট হবে না। মানুষের ইন্দ্রিয়ে সাড়া পড়বে না। কিছুদিন হৈচৈ হল্লা হবে। একটা হলোকাস্টে গোটা আদিবাসীরা পটল তুলবে আর পাহাড়ে আলু চাষ হবে পটেটো চিপসের জন্য। ডানপন্থিরা বগল বাজাবে। বামপন্থিরা বিবৃতি দেবে।

আপনারা অন্তত ভার্চুয়ালি প্রতিবাদ করুন। মিডিয়া চুপ করে আছে-আপনারা চুপ থাকবেন না প্লিজ...তুমাচিং এর ধর্ষন ঘটনায় মিডিয়া ব্ল্যাক আউট চলছে কেন?


রাজনীতির হালচাল

মিথ্যা হঠাও, মিথ্যা হঠাও- জ্বালো সত্যের আলো
নির্মূল কর মিথ্যুকদের- বাংলাকে বাস ভালো।
আমি বাংলাদেশি মন থেকে বলে একবার তোল হাত
হঠাও আঁধার দেশদ্রোহীর নিকষ কালো রাত।
জনতার সাথে প্রতারণা করে ক্ষমতায় করে খেলা
আত্মস্বার্থ ষোল আনা ভেবে স্বদেশ কে করে হেলা।
ধোঁকা দেয় যারা দেশ মাতাকে- লুণ্ঠন করে সব
জেনে রাখ কার উন্মাদনায় লাঞ্ছিত গৌরব।
কার ত্রাসে কেঁপে দুর্বল শাপে, ভেজায় আখির পাতা
কোন নাগরিক কলঙ্কিত, আনে মৃত্যুর হালখাতা?
চিনে রাখ কারা রক্তে ভেজায় বাংলাদেশের মাটি
মনে রেখ কারা অপরাধ করে- রয়ে যায় বেশ খাঁটি।